ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনের দিন বাসে অগ্নিসংযোগকারীদের খুঁজে বের করার দাবি জানিয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আগুন সন্ত্রাস মেনে নেয়া যায় না।
শনিবার জাপার বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গত বৃহস্পতিবার উপনির্বাচন চলাকালে রাজধানীতে নয়টি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকার বিএনপিকে দোষ দিচ্ছে। আবার বিএনপি বলছে তারা দায়ী নয়। আগুন সন্ত্রাস মেনে নেয়া যায় না।
কোনো মতেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেয়া যাবে না।’
ওই সময় আগুন সন্ত্রাস প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জাপার ‘সম্ভাবনার’ কথা তুলে ধরে চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিরাপত্তাহীনতার মাঝে মানুষের কাছে আস্থার রাজনৈতিক শক্তি হচ্ছে জাতীয় পার্টি।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ চায় জাতীয় পার্টি আরও শক্তিশালী হয়ে মানুষের কল্যাণে দায়িত্ব গ্রহণ করুক। দেশের মানুষ অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে।’
জিএম কাদের বলেন, জাপা বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রথম বা দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে টিকে থাকতে চায়। দলটি মানুষের প্রত্যাশা পূরণের সংগ্রাম এগিয়ে নিতে রাজনীতি করছে।
জাপার প্রতিষ্ঠাতা এইচএম এরশাদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঔপনিবেশিক প্রথা ভেঙে উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তন করেছেন। ওষুধ নীতি করে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পকে রফতানিমুখী শিল্পে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
‘এখন সবাই অনুধাবন করছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বাস্থ্যনীতি ও শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।’
বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে এরশাদের সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডকে বিতর্কিত করতেই তাকে স্বৈরাচার বলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন জিএম কাদের। তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন, এরশাদই প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন।